Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

বঙ্গবন্ধুর কৃষি ভাবনায় কৃষকের বাজার ব্যবস্থাপনা

আব্দুস সালাম তরফদার

আবহমান গ্রাম বাংলার নিভৃত পল্লীর নদী-খাল বিধৌত গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রাম। মধুমতির শাখা নদী বাঘিয়া নদীর স্বচ্ছ জলের ধারা তখন প্রবাহমান। সে বাঘিয়া নদীর স্বচ্ছ জলে পা-ডুবিয়ে, কখনও বা সাঁতার কেটে  শরীরে  শীতল জলের পরশ মেখে যে কিশোর স্বপ্ন দেখেছিলেন গ্রাম বাংলার অভাবী খেটে খাওয়া মানুষের মুখে দু-মুঠো অন্ন তুলে দেবার। সবুজের সমারোহে সোনার বাংলা বিনির্মাণে যার জীবন-যৌবনের অধিকাংশই কেটেছে জেলখানার শক্ত প্রাচীরে। বাবার অগোচরে  যে দুরন্ত কিশোর নিজেদেরই গোলার ধান বিলিয়েছেন গ্রামের অভুক্ত মানুষের ক্ষুধা লাঘবে। সেই শৈশবের জনদরদি দুরন্ত কিশোরের স্বপ্ন-সাধ ছিল গ্রাম বাংলায় থাকবে গোলা ভরা ধান, পুকুর ভরা মাছ, গোয়াল ভরা গরুর সুখ শান্তিতে  ভরা।  গ্রামীণ জনপদের নিরন্ন মানুষগুলো যাতে দু-বেলা দু-মুঠো খাবার পেতে পারে সে স্বপ্নের বীজ তিনি তো শৈশবেই বুনে ছিলেন। শৈশব থেকে কৈশোর পেরিয়ে যুবক বঙ্গবন্ধু শেখ    মুজিবুর রহমান দেশ মাত্রিকার টানে শোষিত মানুষের অধিকার আদায়ে ছাত্রজীবন থেকেই ভাষা আন্দোলনসহ জনকল্যাণমুখী সকল রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়েন।
৭ই মার্চ রমনার রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্য দিয়ে  স্বাধীনাতার যে  ডাক তিনি দিয়েছিলেন, তার সুফল হিসেবে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেস্বর ৯ মাস যুদ্ধের দীর্ঘ পরিক্রমা পেরিয়ে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে মহান বিজয়ের মাধ্যমে পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীকে এদেশ থেকে চিরতরে বিতাড়িত করা সম্ভব হয়। যুদ্ধ বিব্ধস্ত এ দেশে মহান নেতা বঙ্গবন্ধুবিহীন যেন কাÐারি ছাড়া হাল ভাঙ্গা নৌকার মতো। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে অবশেষে তিনি ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশের মাটিতে পা-রাখলেন। পাকিস্তানী বাহিনী আর তাদের দোষরদের ভয়াবহ তাÐবে লÐভÐ বাংলাদেশ। দেশ স্বাধীনের আগে আগেই যেমন তারা সেরা বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মধ্যদিয়ে শেষ করে দিয়ে যায় তেমনি যেন শ্মশানে পরিণত হয় ক্ষেত, খামার, রাস্তাঘাট, খাদ্যগুদাম, ব্রিজ-কালভার্ট সবই।
১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রায় ৪০ লক্ষ টন খাদ্য ঘাটতি নিয়ে বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে যাত্রা শুরু হয়। অসম্ভব ভালো বাসতেন তিনি শ্রমজীবী মানুষ আর কৃষকদের। তিনি তখন দেখলেন এদেশের প্রায় শতকরা ৮৫ ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে            কৃষির উপর নির্ভরশীল। তাই তো তিনি প্রথমত কৃষকের উন্নয়ন ছাড়া এদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির কোন পথ খুঁজে পাননি।
দেশের প্রতিটি আনাচে-কানাচে  হায়েনাদের থাবা  তখনও সুস্পষ্ট। পাকিস্তানি বাহিনী আর দেশীয় রাজাকার দোসররা মিলে কৃষকের হালের বলদ থেকে শুরু করে দুধের গাভী পর্যন্ত জবাই করে খেয়ে ফেলে। যার ফলে রিক্ত নিঃস্ব চাষি অসহায় হয়ে পড়েন সার্বিক কৃষি পুনর্বাসনে। প্রায় ১৪ হাজার বর্গমাইল এলাকাজুড়ে ফসলি জমি পুরো   অনাবাদি হয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধু বলেন ‘কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে।’ আর এ সেøাগানকে সামনে রেখে শুরু হয় সামগ্রিক কৃষি উন্নয়ন ব্যবস্থা।
মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীতে প্রায় ২২ লক্ষ কৃষক পরিবারকে দ্রæত পুনর্বাসনের কাজ হাতে নেন বঙ্গবন্ধু। সামগ্রিক কৃষি উন্নয়ন পরিকল্পনায় তিনি শুমারি বা জরিপের ওপর বেশ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। কৃষি উন্নয়ন ক্ষেত্রে তিনি তার  ভাষণে সব সময় বলতেন যে কোন উন্নয়ন পরিকল্পনার আগে আমাদের টোটাল জরিপ করা দরকার। দেশের জনসংখ্যা, বিদ্যমান সম্পদ, চাহিদা, উদ্বৃত্ত, ঘাটতি এসব বিষয় আগেই জরিপ করে সে মোতাবেক পরিকল্পনা গ্রহণের পরামর্শ দিতেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুর ভাবনা ছিল সামগ্রিক কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে        যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশটাকে পুনর্গঠন করে সোনার বাংলায় রূপান্তর করা। তাই তো তিনি ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরের ৫০০ কোটি  টাকা উন্নয়ন বাজেটের প্রায় ১০২ কোটি টাকা  শুধুমাত্র কৃষি উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ প্রদান করেন। এর মাধ্যমে  তাঁর সরকার আমলের প্রথম থেকেই কৃষিবান্ধব দূরদৃষ্টির পরিচয় পাওয়া যায় অনায়াসেই। তিনি কৃষি উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে বিদ্যমান কৃষি বিভাগ ও কৃষি বাজার পরিদপ্তর (বর্তমান কৃষি বিপণন অধিদপ্তর) ছাড়াও কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, উদ্যান উন্নয়ন বোর্ড, তুলা উন্নয়ন বোর্ড, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি, মৎস উন্নয়ন কর্পোরেশন ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান নতুন সৃষ্টি ও বিদ্যামান কৃষি মন্ত্রণালয়াধীন দপ্তরসমূহের কাক্সিক্ষত উন্নয়ন সাধন করেন।
কৃষকদের বিভিন্ন কৃষি উপকরণ যেমন সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি যাতে কৃষক নির্বিঘেœ পেতে পারে তার জন্যে তিনি কৃষি খাতে ক্ষেত্র বিশেষ ভর্তুকির ব্যবস্থা করেন। তাঁর সরকারের  শুরুর দিকে বিদেশ হতে মানসম্পন্ন বীজ আমদানির পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু তার ভাষনে কৃষকগণকে নিজেদের বীজ নিজেদের ক্ষেতে উৎপাদনের পরামর্শ দিতেন। তিনি গবাদিপশু, হাঁস-মুরগি পালন ও মৎস চাষে উদ্বুদ্ধকরতেন প্রতিনিয়ত তাঁর ভাষণে। তিনি  সামগ্রিক প্রশাসন যন্ত্রকে কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের প্রতি উদার দৃষ্টিভঙ্গিতে সেবা প্রদানের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তিনি তার ভাষনে বলতেন তাদের টাকায় সরকারি কর্মচারীদের মাহিনা হয়, তাদের টাকায়    অফিসার, ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার, রাজনীতিক তৈরি হয়।
তাই তিনি তাদেরকে সম্মানের চোখে দেখে সেবা প্রদান করতে নির্দেশনা দেন। এসব নির্দেশনার মাধ্যমে তিনি অতি সহজেই কৃষক তথা শ্রমজীবী মানুষের অন্তরে পৌঁছে গিয়েছিলেন। যার কারণে ক্ষেত-খামারের শ্রমজীবী মানুষ মনে মনে ভাবতেন বঙ্গবন্ধু তো আমাদেরই লোক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ভাবতেন কৃষকদের শিক্ষিত হতে হবে কারণ কারিগরি আর আধুনিক প্রযুক্তি বিষয়ক জ্ঞান ব্যতিরেকে অধিক কৃষি উন্নয়ন সম্ভব নয়। যার কারণে তখন থেকেই কৃষকদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা চালু হয়।
কৃষি উৎপাদন ও ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি
যে কোন কৃষিজাতপণ্যের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তির প্রধান নিয়ামক হলো কৃষি পণ্যের উৎপাদন খরচ হ্রাস আর বাজার চাহিদা      সৃষ্টি। সে সময় বঙ্গবন্ধু কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য দিতে বেশ কিছু দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়ে ছিলেন যাতে কৃষকের সুষম উৎপাদন ধারার ক্রমবৃদ্ধি ঘঠে। যেহেতু নব্য স্বাধীন  দেশের শুরুতেই বড় একটা খাদ্য ঘাটতি ছিল, তাই শহর-গ্রাম উভয় অঞ্চলে কৃষিপণ্যের বাজারমূল্য কিছুটা বেশি ছিল। আবার বঙ্গবন্ধুর কৃষি উপকরণে ভর্তুকি হেতু কৃষি উৎপাদন খরচ কম ছিল। যে কারণে কতিপয় কৃষি পণ্য ব্যতীত  বেশির ভাগ      কৃষিপণ্য ন্যায্যমূল্যে কৃষক বিক্রি করতে সক্ষম ছিল। তবে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে যোগাযোগের রাস্তা ও বাজার-ঘাট বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার কারণে গ্রামে উৎপাদিত কৃষি পণ্য শহরে বাজারজাত করতে বেশ সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। সে অবস্থা মাথায় রেখে বঙ্গবন্ধু যোগাযোগের  রাস্তা, কালভার্ট ও বাজার-ঘাট         পুনঃ নির্মাণ এবং সংস্কারের ব্যবস্থা করেন। তিনি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাটবাজার উন্নয়নে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেন। মাত্র তিন বছরের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় সবই পুনঃ প্রতিষ্ঠিত  হয়। সড়ক ও জলপথে প্রান্তিক কৃষক বিভিন্ন পাইকারী বড় মোকামগুলোতে তাদের উৎপাদিত পণ্য বিপণন করতে সক্ষম হয়।
বঙ্গবন্ধুর কৃষি উপকরণে ভর্তুকি, সামগ্রিক কৃষি উন্নয়নে সিংহ ভাগ বরাদ্দ  এবং রাস্তাঘাট ও বাজার অবকাঠামো পুনঃনির্মাণ কার্যক্রম কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণে সহযোগিতার দ্বার উন্মোচিত করে। বিদেশ হতে উন্নত জাতের বীজ আমদানির ফলে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশের প্রায় ১৪ হাজার বর্গমাইল অনাবাদি জমির অনেকাংশ পুনরায় চাষাবাদের আওতায় আনা সম্ভব হয়।
বাজার ব্যবস্থাপনার সেকাল-একাল
১৯৭২ সাল হতে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে বাজার তদারকি ব্যবস্থার বেশ প্রয়োজনীতা দেখা দেয়। যেহেতু পাকিস্তানি হায়েনারা খাদ্য গুদাম পর্যন্ত পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেয়। প্রায় ০৯ মাস যুদ্ধ কালীন দেশের ব্যবসা বাণিজ্য প্রায় স্থবির হয়ে পড়ে।       গ্রাম-শহরের সকল যোগাযোগ ব্যবস্থা ধ্বংস হয়। চরমভাবে বিঘœ ঘটে সার্বিক কৃষিকাজ তথা চাষাবাদের। তাছাড়া দেশ স্বাধীনের আগে ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর দেশের গোটা দক্ষিণাঞ্চলে ঘঠে যায় প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় আর জলোচ্ছ¡াস। তখন প্রায়  ১০ লক্ষ লোক প্রাণ হারায় সে মহা প্রলয়ংকারি ঘূর্ণিঝড়ের কবলে। চরমভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে দক্ষিণাঞ্চলের দরিদ্র নিপীড়িত জনপদসহ ফসলি জমির সমস্ত ক্ষেত-খামার। এসব কারণে বিশাল একটা খাদ্য ঘাটতি নিয়ে নব্য স্বাধীন দেশের যাত্রা শুরু করতে  হয়। প্রয়োজন হয়ে পড়ে বিদেশী খাদ্য ও নিত্যপণ্যাদি সাহায্যের।
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম দিকে কিছু দেশীয় ছদ্মবেশি রাজাকার, কুচক্রি মহল আর সুবিধাভোগী শ্রেণী বিভিন্ন নিত্যপণ্যের কালোবাজারী আর কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে থাকে। দাম বাড়তে থাকে বিভিন্ন কৃষি পণ্যের, যা জন সাধারণের ভোগান্তিতে পরিণত হতে থাকে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এ বিষয়ে দেশের সব ডিসি/এসডিও মহোদয়গণকে কঠোর ভাবে বাজার তদারকির নির্দেশ দেন। বঙ্গবন্ধু এসব কালোবাজারি আর সুবিধাভোগীদের প্রতি চরম বিরক্ত হয়ে তাঁর ভাষণে বলতেন পাকিস্তান সব নিয়ে গেছে, চোরগুলো রেখে গেছে , এই চোরগুলো নিয়ে গেলেও বাঁচতাম। খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলায় আর কালোবাজারি, অসাধু ব্যবসায়ীদের রুখতে বঙ্গবন্ধু সৃষ্টি করেন ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। তখন এ টিসিবির মাধ্যমে তিনি উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ হতে খাদ্য ও নিত্যপণ্য আমদানি শুরু করেন। সেই সংস্থাটি বর্তমান তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা সরকারের আমলেও কৃষিজাত খাদ্যপণ্যের বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখতে বিশেষ  ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
তৎকালীন সময় মাঠপর্যায়ে প্রত্যেক জেলার ডিসি ও মহকুমার এসডিও মহোদয়ের নেতৃত্বে বাজার তদারকিতে প্রধানত ০৪টি সংস্থা নিয়োজিত ছিল। কৃষি বাজার পরিচালনালয় যা পরবর্তীতে কৃষি বাজার পরিদপ্তরের অধীন (বর্তমান কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের) জেলা মার্কেটিং অফিস, ট্রেডিং কর্পোরেশ অব বাংলাদেশ (টিসিবির অফিসার) ডিস্ট্রিক্ট ফুড অফিস (বর্তমান খাদ্য অধিদপ্তরাধীন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক) ও ডিস্ট্রিক্ট রিলিফ অফিস (ত্রাণ ও পুনর্বাসান  মন্ত্রণালয়াধীন) বর্তমান জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা।
ডিস্ট্রিক্ট মার্কেটিং অফিসার/মার্কেটিং ইনভেস্টিগেটর, টিসিবি অফিসার, ডিস্ট্রিক্ট ফুড অফিসার ও ডিস্ট্রিক্ট রিলিফ অফিসার যথাক্রমে ৪টি সংস্থার জেলা/মহকুমার প্রধান হিসেবে বাজার তদারকিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করতেন। ডিসি ও এসডিও মহোদয়দের নির্দেশে তখন সপ্তাহান্ত  প্রতি শনিবার বিভিন্ন খাদ্য ও ভোগ্যপণ্যের সাপ্তাহিক বাজার পরিস্থিতি সংক্রান্ত রিপোর্ট ডিসি ও এসডিও দপ্তরে প্রেরণ করতেন কৃষি বাজার পরিদপ্তরের (কৃষি বিপণন অধিদপ্তর) ডিস্ট্রিক্ট মার্কেটিং অফিসার/মার্কেটিং ইনভেস্টিগেটরগণ। সাথে সাথে অবৈধ মজুদ ও কালোবাজারি সংক্রান্ত গোপনীয় তথ্য প্রদান করেও প্রশাসনকে বাজার তদারকিতে সাহায্য করতেন তৎকালীন কৃষি বাজার পরিদপ্তরের এসব কর্মকর্তা।
দুর্গম এলাকায় বাজার পরির্দশন করে খাদ্য পণ্যের সরবরাহ ও চলাচল পর্যবেক্ষণ, কালোবাজারি ও মজুদদারদের শনাক্তকরণ, বাজার নিয়ন্ত্রণে পারমিট, মার্কেটিং লাইসেন্স, ডিলিং লাইসেন্স তদন্ত করে  অবৈধ ব্যবসায়ী শনাক্তকরণ, ইত্যাদি কাজে কৃষি বাজার পরিদপ্তরের ডিস্ট্রিক্ট মার্কেটিং   অফিসার/মার্কেটিং ইনভেস্টিগেটরগণ বঙ্গবন্ধুর সরকার আমলে  উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকা পালন করতেন। সাথে সাথে ১৯৬৪ সালের কৃষি পণ্য বাজার নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী ডিসি/এসডিও মহোদয়গণের সহযোগিতায় অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতো। বিদেশ থেকে সাহায্য হিসেবে আসা রিলিফ বিতরণ তদারকি, টিসিবি কর্তৃক আমদানিকৃত খাদ্য ও ভোগ্য নিত্যপন্যের ডিলারশিপ  তদন্ত, খাদ্য বিভাগের রেশনিং/ডিলারশিপ তদারকি ইত্যাদি কাজেও বঙ্গবন্ধুর শাসন আমলে  কৃষি বাজার পরিদপ্তর দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দপ্তরটির গুরুত্ব অনুধাবন করে  কোন একটি অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু সরকারের  তৎকালীন মাননীয় কৃষি ও খাদ্যমন্ত্রী  কৃষি বাজার পরিদপ্তরটির পুনর্গঠন করে সদর দপ্তর ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পদ মর্যাদা বৃদ্ধিসহ দপ্তরটি আরো স¤প্রসারিত করার ঘোষণা দেন।
বর্তমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কণ্যার সামগ্রিক কৃষি উন্নয়ন আর বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার শীর্ষে আহরণ করতে যাচ্ছেন অচিরেই। দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ১৯৭২ সাল থেকে বর্তমান সময়কাল পর্যন্ত দেশের আবাদি জমির পরিমাণ কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ। এতদসত্তে¡ও বঙ্গবন্ধু কন্যার         কৃষিবান্ধব পরিকল্পনা, কৃষিতে ভর্তুকি আর বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের ফলে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৪গুন। বঙ্গবন্ধুর জনকল্যাণমুখী যাবতীয় স্বপ্ন তিনি পূরণ করে চলছেন।
আমাদের দেশ আজ সারা বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে অন্যতম। এদেশের উন্নয়ন আজ সারা বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। সেদিন আর দূরে নয় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকলে এদেশ উন্নত দেশের কাতারে নাম লেখানো সম্ভব হবে একদিন।
বঙ্গবন্ধু সরকারের আমলে কৃষি ভাবনার যে স্বপ্ন ছিল কৃষি বাজার পরিদপ্তরটি (কৃষি বিপণন অধিদপ্তর) পুনর্গঠিত করা তা আজ বাস্তবে রূপ পেয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার ১৯৯৬ সালে প্রথম বার ক্ষমতায় আসার পরই ১৯৯৭ সালের কৃষি নীতিতে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের পুনর্গঠন সংক্রান্ত বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হয়। মাঝখানে জোট সরকারের আমলে সে গতিধারা শ্লথ হয়ে এক সময় পুরোটাই স্থবির হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে বর্তমান সরকার আবার ক্ষমতায় আসার পরে  ২০১৫ সালে চ‚ড়ান্তভাবে বঙ্গবন্ধু সরকারের           কৃষি বাজার পরিদপ্তরটি (কৃষি বিপণন অধিদপ্তর) পূর্ণাঙ্গভাবে পুনর্গঠন হয়েছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের শীর্ষপদ              মহাপরিচালক ও জেলা পর্যায়ে কৃষি বিপণন ক্যাডার পদ সৃষ্টিসহ ২৬০৪ জন জনবল সৃজন করত জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রæত এগিয়ে যাচ্ছে। য়

জেলা মার্কেটিং অফিসার,কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, জেলা মার্কেটিং অফিস, খুলনা, মোবা : ০১৭৪১২৭০৫২২, ই-মেইল : Storfder@gmail. com

 


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon